বিশ্বে জুতা উৎপাদনে বাংলাদেশ অষ্টম
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
জুতা উৎপাদনে বিশ্বে অষ্টম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। পর্তুগালভিত্তিক জুতা প্রস্ততকারকদের সংগঠন পর্তুগিজ ফুটওয়্যার, কম্পোনেন্টস, লেদার গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (এপিআইসিসিএপিএস)-এ তথ্য জানায়।
এছাড়া ওয়ার্ল্ড ফুটওয়্যার ইয়ারবুকের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে ৩৫ কোটি জোড়ার বেশি জুতা উৎপাদন করা হয়। তবে শীর্ষস্থানে রয়েছে চীন। তারা বছরে প্রায় দেড় হাজার কোটি জোড়া জুতা উৎপাদন করে।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। ২০১৫ সালে দেশটি জুতা উৎপাদন করে ২২০ কোটি জোড়া। তৃতীয় থেকে সপ্তম অবস্থানে থাকা দেশগুলো হলো যথাক্রমে ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, পাকিস্তান ও তুরস্ক। জুতা উৎপাদনে বাংলাদেশের নিচে নবম ও দশম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে মেক্সিকো ও থাইল্যান্ড।
ইউএস-বাংলা ফুটওয়্যারের ব্র্যান্ড ভাইব্রেন্ট দাবি করেছে, উৎপাদিত এসব জুতার মধ্যে সব জুতা হালাল নয়, এখানে সকল চামড়া হালাল প্রাণীর নয়। রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলে ভাইব্রেন্ট।প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বাংলাদেশে জুতার বিশাল সংগ্রহশালার মধ্যে ভাইব্রেন্টের জুতা কিংবা লেদার সামগ্রী শতভাগ হালাল প্রাণী তথা গরুর চামড়া দিয়ে তৈরি।
তারা জানায়, ভালো মানের জুতা কিংবা হালাল জুতা সামগ্রী পরিধান করলে যেকোনো স্কিনের অসুখ থেকে নিরাপদ থাকা যায়।
ভাইব্রেন্টের উৎপাদিত জুতা ও অন্যান্য লেদার সামগ্রী উৎপাদনের কোনো ধাপেই শুকরের চামড়ার ব্যবহার একদমই করে না বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
দেশব্যাপী ভাইব্রেন্টের প্রোডাক্ট নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়। এখানে কোনো প্রকার পিগ-স্কিন বা শুকরের চামড়া ব্যবহার করা হয় না।
যাত্রা শুরুর পর থেকে গ্রাহকদের চাহিদা, রুচিশীলতা, আধুনিকতা ও আয়ের সক্ষমতার কথা বিবেচনায় রেখে প্রায় ৮০০ মডেলের আধুনিক ডিজাইনের পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের জন্য জুতার কালেকশন রাখছে ভাইব্রেন্ট। সামগ্রীর মান ও দামের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রেখে গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদান করে যাচ্ছে সংস্থাটি।
মাত্র সাত মাসের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বগুড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক কেন্দ্রে ভাইব্রেন্ট এর শো-রুম স্থাপন করা হয়েছে। ভাইব্রেন্টের প্রত্যেকটি শো-রুমে জুতা ছাড়াও রয়েছে ভাইব্রেন্ট ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ডিজাইনের লেদার সামগ্রী, ট্রাভেল ব্যাগ, পুরুষ গ্রাহকদের জন্য শার্ট, টি-শার্টসহ অন্যান্য লাইফ স্টাইল সামগ্রী।